সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ August ২০২১
বঙ্গবন্ধুর সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে বঙ্গমাতার পরামর্শ আন্দোলনে গতির সঞ্চার করেছিল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রকাশন তারিখ
: 2021-08-08
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসার সামলাবার পাশাপাশি জাতির পিতার অনেক সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার পরামর্শ আন্দোলন সংগ্রামে গতির সঞ্চার করেছিল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার সহচর হিসেবে বঙ্গমাতা এক হাতে যেমন সংসার সামলেছেন তেমনি অনেক সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন।’ তিনি আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা একদিকে সংসার সামলেছেন অপরদিকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো সঠিক সময়ে যাতে হয় তার ব্যবস্থা করেছেন। আন্দোলন সংগ্রামে এই দলকে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ যেন সবমসয় সঠিক পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে চলতে পারে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
সমস্ত তথ্য বাবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জেলখানায় থাকা বাবার কাছ থেকে সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে এসে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার মত কাজগুলো তিনি গোপনে করেছেন। এভাবেই তিনি তাঁর পুরো জীবনটাকে উৎসর্গ করেন আমার বাবার যে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন সেই আদর্শের কাছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু কখনও রাজনৈতিক নেতা হতে হবে, রাজনীতি করে কিছু পেতে হবে সে চিন্তা তাঁর (বঙ্গমাতার) ছিল না। কোন সম্পদের প্রতি ও তাঁর কোন আগ্রহ ছিল না। এভাবেই নিজের জীবনকে তিনি গড়ে তুলেছিলেন।আর সবশেষে আপনারা দেখেছেন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমার মা খুনীদের কাছে নিজের জীবন ভিক্ষা চান নাই। তিনি নিজে জীবন দিয়ে গেছেন, বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সিঁড়িতে পড়ে থাকা মৃতদেহ দেখে সোজা বলে দিয়েছেন-‘তোমরা ওনাকে মেরেছ, আমাকেও মেরে ফেল।’ খুনীরা বলেছিল আমাদের সঙ্গে চলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আমি যাব না তোমরা এখানেই আমাকে খুন কর,’ খুনীদের বলে দেন তিনি।‘ঘাতকের বন্দুক গর্জে উঠেছিল, সেখানেই আমার মা’কে তারা নির্মমভাবে হত্যা করে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কতটা সাহস একটা মানুষের মনে থাকলে সে মানুষটা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবন ভিক্ষা না নিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারেন। আজকে আমাদের দেশের নারী সমাজ যে একটা জায়গা খুঁজে পেয়েছে সেখানে আমি মনে করি আমার মা’য়ের এই কাহিনী শুনলে অনেকেই অনুপ্রেরণা পাবে। শক্তি ও সাহস পাবে দেশের জন্য, জাতির মঙ্গলে কাজ করতে।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম স্বাগত ভাষণ দেন।মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক বিজয়ীদের হাতে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক-২০২১ তুলে দেন।