প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সেবা করাকে একটি বড় কাজ হিসেবে উল্লেখ করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটি তাদের ভবিষ্যত ভোট নিশ্চিত করবে।তিনি বলেন, ‘ আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা যদি আপনারা নিশ্চিত করতে পারেন ভবিষ্যতে আপনাদের ভোটের কোন চিন্তা থাকবে না। মানুষই আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে।’প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ের শাপলা হলে দুই সিটি কর্পোরেশন- কুমিল্লা ও ময়মনসিংহের নবনির্বাচিত মেয়র এবং পাঁচ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের জনকল্যাণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস কোনোভাবেই হারাবেন না। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই অনুযায়ী মানুষের জন্য কাজ করুন।’তাঁর সরকার দেশের প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন করেছে এবং তৃণমূলের মানুষকে ঘিরেই এই উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জনপ্রতিনিধিদের জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কাজ করার এবং বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।সরকার প্রধান বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। যেটা আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। এই পরিবর্তন ধরে রেখে আরো উন্নতি করতে জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা আপনাদের রক্ষা করতে হবে।’‘জনগণকে উন্নত সেবা প্রদান, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা তাঁর সরকারের লক্ষ্য,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি ‘আমার গ্রাম, ‘আমার শহর।’ অর্থাৎ গ্রামের মানুষ সকল নাগরিক সুবিধা পাবে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্নাতক অর্জন কার্যকরপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে আমি আপনাদেরকে আন্তরিকতার সাথে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর, তাদের সেবা করার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতি, মাদক , জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের পথ থেকে সবাই যেন দূরে থাকে, সেদিকে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’