যৌক্তিক কারণ ছাড়া প্রশাসনে রদবদল করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।তিনি বলেন, 'যদি যৌক্তিক কোন কারণ থাকে যে কোন অফিসার নিরপেক্ষ নন, তার আচরণে ও কাজে প্রমাণ হয়েছে, তখন বদলি করবো। যেমন জামালপুরের একজন জেলা প্রশাসককে আমরা বদলি করতে বলেছি, তাকে বদলি করা হয়েছে। সেই সময় সিডিউলও ঘোষণা হয়নি। উনি একটি অনুষ্ঠানে একজন রাজনৈতিক দলের এমপির পক্ষে কথা বলেছেন।'আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আইনের ব্যাখ্যা হলো- আরপিও অনুযায়ী পুলিশের কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং এর নীচে যতো কর্মকর্তা আছেন তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি হতে পারবে না। সরকার চাইলে এদের বদলি করতে পারবে না।মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে যদি মনে হয় কোনো বিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর আচরণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে। তখন নির্বাচন কমিশন সেই কর্মকর্তাকে বদলি করতে পারে। রিটার্নিং অফিসার যাদের নিয়ে নির্বাচন করবেন অর্থাৎ প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার- এদের জেলার বাইরে বদলি করা যাবে না। সংবিধানে আছে নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের সহায়তা চাইলে তারা দিতে বাধ্য। আরওপিওতেও একই কথা আছে যে, নির্বাচন কমিশন কোন সংস্থা ও বিভাগের সহায়তা চাইলে তারা দিতে বাধ্য।