তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে। তিনিই প্রথম এদেশে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন।’ তথ্যমন্ত্রী আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
গণমাধ্যম সমাজের দর্পন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। সমাজ যাতে সঠিক ভাবে প্রবাহিত হয় এবং রাষ্ট্রগঠনে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম সমাজের দর্পন হিসাবে কাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে গণম্যধ্যমের কর্মীদের এক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আন এডিটেড প্ল্যাটফর্ম। ফলে এখানে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়, এসব সংবাদ অনেক সময় অস্থিরতা তৈরি করে, সামাজিক বন্ধন নষ্ট করে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করে।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রগুলো এডিটিং প্ল্যাটফর্ম বলে সেখানে ভুল কম হয়। এ কারণে সাংবাদিকদের উচিত হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করা।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, একটি কুচক্রি মহল সরকারকে বেকায়দার ফেলতে নানা ভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন চায়না, সরকার যাতে দেশের মানুষের জন্য ভাল ভাবে কাজ করতে না পারে তাই তারা এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। মতবিনিময় সভায় তথ্য সচিব আবদুল মালেক,প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।