প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আসছে, কাজেই দলকে আরো শক্তিশালী করে তোলার বিষয়ে আমাদের মনযোগি হতে হবে।’
শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এবারের করোনাভাইরাসের সময় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেভাবে আর কোন রাজনৈতিক দলকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি দেখেন নি।
শেখ হাসিনা বলেন, মূলত কেউ দাঁড়ায়নি। এই ব্যাপারে অন্য দলগুলোর কোন আগ্রহ ছিল না। তাদের কাজই ছিল প্রতিদিন টেলিভিশনে বক্তৃতা বা বিবৃতি দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের একটু সমালোচনা করা। তাদের যেন একটাই কাজ আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করতেই হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময় সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। তবে, কখনো সরকারের একার পক্ষে এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব ছিল না।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে একটাই কারণে যে, আমাদের একটা শক্তিশালী সংগঠন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আছে। আর সেটা আছে বলেই আমরা এটা করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা আমার বিশ^াস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জানি একথা কেউ হয়তো বলবেও না লিখবেও না, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এককভাবে শুধু সরকারি লোক দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব হয়না। তারাও করেছে খুব আন্তরিকতার সাথে। আমাদের প্রশাসনে যে যেখানে ছিল বা পুলিশ বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, বিডিআর, আনসার প্রত্যেকে এবং বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম দিকে একটু ভীতি ছিল কিন্তু তাঁর সরকারের প্রণোদণা এবং উৎসাহে তারা কাজ করতে পেরেছে।
সরকার প্রধান বলেন, হাজার হাজার ডাক্তার এবং নার্স আমরা নিয়োগ দিয়ে চেষ্টা করেছি করোনা মোকাবেলা করার জন্য। আবার ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে আমরা সবার আগে উদ্যোগ নিয়েছি।