তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন এবং সৈনিক ও অফিসার হত্যা দিবস।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এই দিনকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে অথচ প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি যে কর্নেল তাহের বন্দীদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকেও জিয়া পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন।’
ড. হাছান বলেন, ‘হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যূদয়, তারা এদিনটি যেভাবে পালন করে, তাতেই প্রমাণ হয় এবং এদিনই আসলে জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন’।
তিনি বলেন, ‘জিয়া প্রথমে তার মনোনীত বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পদে রাখেন কিন্তু উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা ছিলো তার হাতেই।’
‘জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়,সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অফিসার হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন’, উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
এসময় সাংবাদিকবৃন্দ বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতায় টিকে আছে’ – এ মন্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার। আর পক্ষান্তরে বিএনপিই এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।’