দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আবারও দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আবারো শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে। সরকার দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসনে প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছে।’
ওবায়দুল কাদের আজ বৃহষ্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঝড়ের আগে জেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা বেড়িবাঁধ মেরামতসহ সার্বিক পুনর্বাসন ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সুপার সাইক্লোন আম্পান ইতোমধ্যে আঘাত হেনেছে বেশকটি জেলায়, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক না হলেও একেবারে কম হয়নি। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী যশোর, হাতিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, ঘরবাড়ি ধ্বংস, বেড়িবাঁধের ক্ষতিসহ ফসলহানি ঘটিয়েছে। এমনকি কিছু কিছু যায়গায় প্রাণহানিও ঘটেছে।
ওবায়দুল কাদের আম্পানে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশের পাশাপাশি আশঙ্কা ও পূর্বাভাস অনুযায়ী কম ক্ষয়ক্ষতিতে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও শুকরিয়া জানান।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমত, পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনীতে মানুষের দোয়া এবং শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি আমাদেরকে এ ঘূর্ণিঝড় হতে অল্প ক্ষতির মধ্য দিয়ে উত্তরণ ঘটিয়েছে। এর পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন, পানিবন্দি মানুষের সুরক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ মেরামতে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে রয়েছে। মনে রাখবেন আপনারা একা নন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত দরদী ও দক্ষ নেতৃত্ব আপনাদের সাথে আছে সার্বক্ষণিকভাবে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষ করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের এসব জনগোষ্ঠীর দুটো চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে আমাদের অসাবধানতা অসচেতনতার জন্য করোনাই সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অহেতুক যেখানে সেখানে সমাগম করছেন তারা জেনেশুনেই সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ডেকে আনছেন।