তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি’র মানববন্ধন জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টার অংশ, অন্য কোনো কিছু নয়।’
তিনি রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সিনেমা এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-বিসিটিআই এর শিক্ষকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে বিএনপি’র মানববন্ধন সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। বিসিটিআই শিক্ষকদের মধ্যে ম. হামিদ, গাজী রাকায়েত, পঙ্কজ পালিত, সাজ্জাদ জহির, শামীম আকতার, জাহিদুল রহিম অঞ্জন, ফরিদুর রহমান ও কেরামত আলী সভায় অংশনেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনীরা হত্যাকান্ডের পরপরই ১৯৭৫-৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বিদেশে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ক্যাপ্টেন মাজেদ ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার আগেও জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে স্পষ্ট বলে গিয়েছেন। আরো অনেক দলিল-দস্তাবেজ প্রমাণ করছে যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, সেগুলো নানা তথ্য-উপাত্ত বেরিয়ে আসে। এগুলো উপস্থাপনের জন্য আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই।”
‘জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পুণর্বাসিত করেছিলেন, সেগুলো যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের (বিএনপি’র) গাত্রদাহ হচ্ছে এবং একারণেই বিএনপি অফিসের সামনে জিয়াউর রহমানের এই অপকর্ম ঢাকার জন্য তাদের মানববন্ধন’ বলেন মন্ত্রী।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র নষ্ট করছে’ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে বিএনপি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত চেতনাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত বিরুদ্ধাচারীদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। যখন দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা চলছিল, তখন পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে যে শাহ আজিজুর রহমান বলেছিলেন যে দেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে না, কিছু ভারতীয় চর গন্ডগোল করছে এবং কোনো গণহত্যা হচ্ছে না, তাকে তিনি প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন।’