চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের কয়েক সেকেন্ড আগেই ভারতের চন্দ্রযান-২ ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ এর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদে নামতে শুরুর পর থেকেই গ্রাউন্ড স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আর কোনো বার্তা পাঠাচ্ছে না এই চন্দ্রযান।
ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন ৯৭৮ কোটি টাকা ব্যয় হয় চন্দ্রযান-২ মিশন এ।
তবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-ইসরো এর বিজ্ঞানীদের নতুন অভিযানের উৎসাহ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “আমরা পিছিয়ে পড়িনি… চাঁদে পৌঁছনোর জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি আরও প্রবল হল, সংকল্প আরও দৃঢ় হল।”
প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে প্রথম দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় ছিল ভারত। তবে রাত ১ টা ৫৫ মিনিট সময়টা এল এবং চলে গেল, মিশন সফল হওয়ার কোনও বার্তা এল না।
তবে এখনও হাল ছাড়েনি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন-ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও হাল ছাড়েননি, তিনি বরং বিজ্ঞানীদের সাহস যুগিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর নিয়ন্ত্রণকক্ষে তিনি ৭০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত ২২ জুলাই এখান থেকেই যাত্রা শুরু করে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’।
মোদি বিজ্ঞানীদের বাহাবা দিয়ে বলেন, “এটা জীবনের উত্থান ও পতন। এটা কম কৃতিত্ব নয়।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার ১০০ মিটার দূরত্বে শেষ সঙ্কেত পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, চাঁদের পৃষ্ঠতলের কাছাকাছি এসে গতিবেগ নিয়ন্ত্রণজনিত সমস্যায় পড়তে পারে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’।
চাঁদের মাটিতে ধূলিঝড়ের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।