প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের সরকারি সফর শেষে আবুধাবি হয়ে দেশের ফেরার উদ্দেশে আজ রাতে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (ইওয়াই-১০০) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা, সোমবার) আবুধাবির উদ্দেশে জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যার্থনা জানাবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ৩ ঘন্টা যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করবেন। ফ্লাইটটি ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গমন করেন। শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউএনজিএ’র ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিউইয়র্ককে তিনি সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজিজ), পররাষ্ট্র সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদক সমস্যা বিষয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী দু’টি মর্যাদাবান বিশ্ব পুরস্কার পান। যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়ন এবং টিকাদান কর্মসূচির বিরাট সাফল্যের জন্য যথাক্রমে ইউনিসেফের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ ও জিএভিআই-এর ‘ভ্যাকসিন হিরো’।
ইউএনজিএ’র পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণমূলক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল এডভোকেট ডাচ রানী ম্যাক্সিমা ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের বিল গেটসের সঙ্গেসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের দেয়া একটি স্বাগত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি অভ্যার্থনা এবং যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কর্মার্স আয়োজিত একটি মধ্যাহ্নভোজ গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন।