রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের সার্বিক অগ্রগতির সঙ্গে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে দুর্গাপূজার চেতনা কাজে লাগাতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে নগরীর বনানী পূজামন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ‘সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সমাজ থেকে অসত্য, অবিচার ও অন্যায় দূরীকরণে দুর্গাপূজার চেতনা কাজে লাগাতে হবে।’
দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় বিষয় নয় একে আন্তর্জাতিক উৎসব হিসেবে বর্ণনা করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, এই উৎসব সুদীর্ঘকাল ধরে বাঙালি জাতির বহুদিনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিক বহন করে চলেছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎসব ছাড়াও দুর্গাপূজা দেশবাসীর মধ্যে ঐক্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সারাদেশে ৩১ হাজার ৩৯৮টি পূজামন্ডপ স্থাপনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে এই ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্যদৃষ্টান্ত, সেখানে সকল ধর্মের মানুষ সুদীর্ঘকাল অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে।
এর আগে সেখানে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র দাস।
রাষ্ট্রপতি এসময় ‘বোধন’ প্রকাশনার মোড়কও উন্মোচন করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
ঢাকেশ্বরী পূজা মন্ডপে পৌঁছালে সেখানে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন, হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত। রামকৃষ্ণ মঠ ও মন্ডপে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, রামকৃষ্ণ মিশনের ম্যানেজার স্বামী সর্বতীতানন্দ ও ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। এসব পূজামন্ডপে উৎসব উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট ও উত্তরীও উপহার দেয়া হয়।