নতুন নির্বাচন কমিশনও আইন অনুযায়ী গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রাক্কালে বিএনপি নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসার আগেই বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। নতুন নির্বাচন কমিশনও আইন অনুযায়ী গঠিত হবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভার শুরুতে বক্তব্য প্রদান কালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির আহ্বানে ও সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেখানে বিএনপিসহ সব দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এবারও সব রকম গ্রহণযোগ্য পন্থায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’
আগাম নির্বাচন বা দলের আগাম সম্মেলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের দলের সম্মেলনও নির্ধারিত সময়ে হবে। আওয়ামী লীগে আগাম সম্মেলনের নজির নেই।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র মতো আওয়ামী লীগের জাম্বু জেট কেন্দ্রীয় কমিটি না। আমাদের বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী বছর ডিসেম্বরে শেষ হবে। আমাদেরও আগে বিএনপি ৫০১ এক সদস্যের জাম্মু জেট কমিটি করেছিলো। মিডিয়াতে দেখলাম সেই নির্বাহী কমিটির এটাই তাদের প্রথম সভা। সিরিজ সভা হচ্ছে। এই সভায় তাদের দলের আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বিষয় নেই।
তিনি বলেন, আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা না করে বিশেষ সিরিজ সভা সরকার বিরোধী সিরিজ ষড়যন্ত্রের গোপন সভা করছে। কীভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা যায়, সরকার হঠাবে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উস্কানি দেবে এটা সেই সভা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র তারা করে। আগামী বছর নির্বাচন কমিশন গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি’র সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। যে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলার জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এক বছর আগে বিএনপি’র কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির মিটিং হয় তিন বছর পর। তারা কোনো জেলা উপজেলা সম্মেলন করেনি। তারা মুখে মুখে গণতন্ত্রের বুলি আওরায়। তাদের সম্মেলন হয় না, কমিটি হয় না, পার্টিতে গণতন্ত্র নেই। তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণকারী জিয়ার দলে কোনো গণতন্ত্র নেই।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, এস এম কামাল হোসেন ও শফিউল আজম নাদেল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।