Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা


প্রকাশন তারিখ : 2023-12-27

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ তাঁদেরকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে তাঁরা বাংলাদেশকে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি এনে দেবে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দিব।’আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য তাঁর দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় একথা বলেছেন।তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত হবে। আসুন, আরও একবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন আগে আজ সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তাঁর দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।ইশতেহারে, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সেবামুখী ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করার এবং অবকাঠামো উন্নয়ন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার চর্চার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে সুশাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জোরদার করা হবে।এটি অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার, রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল করার, একটি সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং স্বাস্থ্য বীমা চালু করার প্রতিশ্রুতি দেয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ভোটারদের কাছে তাদের অতীতের ভুল ক্ষমা করার জন্য, ‘ক্ষমাশীল চোখে’ দেখার জন্য একটি আবেগপূর্ণ আবেদন জানান।তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথ-পরিক্রমায় যা কিছু ভুলত্রুটি তার দায়ভার আমাদের। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকা- পরিচালনা করবো।’শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন সকলকে হারিয়ে আমি রাজনীতিতে এসেছি শুধু আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এ কাজ করতে গিয়ে আমাকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে বার বার। কিন্তু বাবার কথা ভেবে, আপনাদের কথা ভেবে আমি পিছ-পা হইনি। যতদিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখেন, সুস্থ রাখেন, ততদিন যা কর্তব্য হিসেবে আমি গ্রহণ করেছি, সেখান থেকে সরে আসবো না। আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করার মধ্য দিয়েই আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হতে যাচ্ছে দেশ। এই উত্তরণ যেমন একদিকে সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জেরও।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।