Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ August ২০২১

দেশের জনগণকে উন্নত জীবন দিতে পারাটাই হবে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের প্রকৃত প্রতিশোধ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রকাশন তারিখ : 2021-08-16

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির পিতা হত্যার ষড়যন্ত্রকারী এবং ক্ষেত্র প্রস্তুতকারী উভয়কেই বিচারের সম্মুখীন করার সংকল্প ব্যক্ত করে বলেছেন, এই দেশের দুঃখী জনগণের মুখে হাসি ফোটানোই হবে এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত প্রতিশোধ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুঃখী নিরন্ন জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা এবং উন্নত জীবনের ব্যবস্থা করা যেটা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন, সেই ব্যবস্থা যখন করতে পারবো সেদিনই আমি মনেকরি এই হত্যার প্রকৃত প্রতিশোধ নিতে পারবো।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই হত্যাকান্ডের বিচার করাটা জরুরী ছিল সেটা করেছি এবং কারা জড়িত ছিল একদিন সেটাও বের হবে। সেদিনও খুব বেশি দেরী নয়। এই হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে এবং যারা পাশে ছিল ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, সবাই কিন্তু সমানভাবে দোষী।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে জাতির পিতার ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী এবং ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভেনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা তখনকার পত্র-পত্রিকাগুলো পড়লেই অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। একটা বিধ্বস্ত দেশ গড়তে যেখানে বছরের পর বছর লেগে যায় সেখানে একটি বছরও সময় দেয়া হলো না, সাথে সাথে সমালোচনা শুরু হলো। ধৈর্য্য না ধরে নানা সমালোচনা, নানা কথা লেখা হলো। কারা এগুলো লিখেছিল, কাদের খুশী করতে এবং এই হত্যাকান্ডের জন্য গ্রাউন্ড প্রিপেয়ার কারা করছিল? আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশিদের বিবিসিতে প্রদত্ত ইন্টারভিউ এর উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে এবং যারা পাশে ছিল ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে সবাই কিন্তু সমানভাবে দোষী।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা জিনিস চিন্তা করেন ’৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা দেশে ফেরেন এবং সেই ’৭২ সাল থেকেই এদেশে ষড়যন্ত্র শুরু। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি হলো, জাসদ সৃষ্টি হলো, পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর দোসরা যারা এদেশে থেকে গিয়েছিল সব আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির সঙ্গে মিশে গেল।
তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের বিচার করাটা জরুরী ছিল সেটা করেছি এবং কারা জড়িত ছিল একদিন সেটাও বের হবে। সেদিনও খুব বেশি দেরী নয়। তবে, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল আমি সবসময় বলেছি বাংলাদেশের দুঃখী নিরন্ন জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা এবং উন্নত জীবনের ব্যবস্থা, যেটা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন। সেই ব্যবস্থা যখন করতে পারবো সেদিনই আমি মনেকরি এই হত্যার প্রকৃত প্রতিশোধ নিতে পারবো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন।