আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ব্যক্তির সামাজিক অবস্থানের কারণে অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের ঊর্ধ্বে নন।তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত, আওয়ামী লীগ নয়।’ এর জন্য সরকার কেন সমালোচনার মুখে পড়বে?’সেতুমন্ত্রী আজ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আদালতের রায়েই ইউনূস দন্ডিত হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের কোন দায় নেই। যে শ্রমিকদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন তারাই মামলা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা কেন?নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের যে অংশগ্রহণ তাতে এটা স্পষ্ট যে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। অথচ বিএনপি এবং তাদের দোসররা একতরফাভাবে বিরোধিতা করছে। বিএনপি লিফলেট বিতরণ বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড-যেটাই করুক না কেন নির্বাচন থেকে পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।তিনি বলেন, বিএনপি এখন লিফলেট বিতরণের নামে কিছুটা নীরবতা দেখাচ্ছে। তবে হঠাৎ করেই তারা সশস্ত্র হয়ে মাঠে নেমে পড়বে। তাদেরকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। হঠাৎ করে তারা গুপ্ত হামলা, ভয়ংকরভাবে ঝুঁকে পড়তে পারে। শুনেছি এজন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাদেশে প্রচারণা চলছে। জনসভাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এখানে নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, এতেই স্পষ্ট ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে ২৮টি দলের প্রার্থী আছে। এটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করি। আশা করি ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। যদিও অশান্তির উপাদান আছে। ইতোমধ্যে অগ্নিসন্ত্রাস, বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে, যাতে জনগণ আতঙ্কগ্রস্থ হয়, তারা যেন ভোট দিতে না যায়, এজন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিএনপি চালিয়ে যাচ্ছে।