বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ বৃহষ্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী এবারও জাতীয়ভাবে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার ওপর একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার।
এর আগে সকালে বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও, সেখানে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও তাঁতীলীগ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গমাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে উদ্যোগে ধানমন্ডি ৩২-এ ডেঙ্গু প্রতিরোধ সামগ্রী ও বন্যা দুর্গতদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিকে, বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগ বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির জনকের হত্যাকারীদের হাতে নির্মম মৃত্যুবরণ করেন।
ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিনীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী।
বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মত অনুসরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ।