Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ August ২০২১

ভবিষ্যতে চলমান উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন : সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রকাশন তারিখ : 2021-08-19

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিদ্যমান উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বুধবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সচিব সভায় এই নির্দেশ দেন। সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো যেন উন্নত জীবন পায়।’
একটি দক্ষ সেবামুখী জবাবদিহীতামুলক প্রশাসন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে আরও অনেক দূর  যেতে হবে এবং সে পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। আমাদের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান, সেগুলো মাথায়  রেখে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন যেন যথাযথ ভাবে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন হতে হবে সুষম উন্নয়ন। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো যেন গ্রামেই সব ধরণের নাগরিক সুবিধা লাভের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার সুবিধা পায়। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী জনতার জন্য এমনভাবে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কাজে তাদের উৎসাহ বাড়ে। তারা উন্নত জীবন পায়, দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি পায়, অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও যেন সেভাবে এগিয়ে যেতে পারে। সেভাবে আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসবের ভিত্তি তাঁর সরকার কাজের মাধ্যমে তৈরী করেছে। যেটা ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তাঁর সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব মন্ত্রণালয় এবং সচিবদের ওপর বর্তায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার মন্ত্রণালয়ে যে যে প্রকল্প রয়েছে সেগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে।
এটা করতে পারলেই দেশের অর্থনীতিকে তাঁর সরকার গতিশীল রাখতে পারবে উল্লেখ করে তিনি সচিবদের আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবদের অধীনস্থ দপ্তর বা অধিদপ্তর এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে নিয়মিত বৈঠক করে তাদের সমস্যাবলীর খোঁজ-খবর করার আহ্বান জানান। কেননা, কোন কাজে কোথাও যেন স্থবিরতা দেখা দিতে না পারে, বলেন তিনি।
তিনি এ সময় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, আবাসনের সুযোগ, গাড়ি ক্রয় করা বা গাড়ি রক্ষনাবেক্ষণে সরকারি সহায়তা দেয়ার তথ্য তুলে ধরে বলেন, তাঁর নিজেরও একটা চাওয়া আছে আর সেটা হচ্ছে তাঁর সরকারের কাজগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয় এবং মানসম্পন্ন হয়।
 দেশ অর্থনৈতিক ভাবে যত এগুতে পারবে ততই এ ধরনের সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একটি দক্ষ জনমুখী জবাবদিহীমূলক সেবাধর্মী প্রশাসন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই একটি দক্ষ সেবামুখী জাবাবদিহীমূলক প্রশাসন গড়ে উঠবে। যা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারবে এবং সেটাই সব থেকে বেশি কার্যকরী হবে। কারণ, বাংলাদেশে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
 শেখ হাসিনা এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র পুণরোল্লেখ করে বলেন, অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি এবং দেশের উন্নতিও হচ্ছে কাজেই কোন ধরণের দুর্নীতিকে সহ্য করবো না। কারণ, এটা হচ্ছে একটা ব্যাধি।
এই ব্যাধি থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে, উল্লেখ করে তিনি সচিবদেরকেও এ বিষয়ে কঠোর হবার নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেখানেই দুর্নীতি দেখবেন সেখানেই আপনাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
 এ সময় মুজিববর্ষে দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীণকে ঘর করে দেওয়ার মাধ্যমে ঠিকানা গড়ে দেয়ায় তাঁর সরকারের অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি যেন আরেকটু বেগবান হয় এবং সুষ্ঠু রূপে সম্পাদন হতে পারে তার প্রতি নজর দেওয়ার জন্যও সচিবদের নির্দেশনা প্রদান করেন।