আদালতে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর পাশাপাশি খুন-ধর্ষণ-অগ্নিসন্ত্রাসসহ গুরুতর অপরাধগুলোর দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে হবে, কারাগারে এখনো অনেকে আছে কী কারণে সে জেলে তা জানে না। তাদের দোষটা কী তাও তারা জানে না বা কীভাবে আইনগত সহায়তা নিতে হবে তাও তারা জানে না। এ বিষয়টা বিশেষভাবে দেখার জন্য আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে আরও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
গুরুতর ফৌজদারি অপরাধগুলোতে দ্রুত কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুন, অগ্নিসন্ত্রাস, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা, ধর্ষণ, নানা ধরনের সামাজিক অনাচার চলছে। এগুলোর বিচার যেন খুব দ্রুত হয় এবং কঠোর শাস্তি হয় যাতে এর হাত থেকে দেশ জাতি রক্ষা পেতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি মানুষ ন্যায়বিচার পাক, সে ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয়। কারণ, আমি চাই না আমরা যে রকম বিচার না পেয়ে কেঁদেছি আর কাউকে যেন এভাবে কাঁদতে না হয়। সবাই যেন ন্যায়বিচার পেতে পারে।
বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিচার বিভাগের সর্বত্র পৌঁছে দিতে সরকারের উদ্যোগ ও ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই যেখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং জনগণ মৌলিক অধিকার ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবেন।