Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st সেপ্টেম্বর ২০১৯

শিল্প কারখানা স্থাপনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশের প্রতি মনযোগী হোন : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2019-09-01

রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় সব ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানে আশ্বাস দিয়ে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশের প্রতি মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার ব্যবসা-বান্ধব সরকার। ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে, তাদের কাজে আমরা সহযোগিতা করব।’ তাঁর সরকার এ ব্যাপারে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ।
শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধনীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৬-১৭ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদেরকে আমি একটাই অনুরোধ করবো, যে শিল্প বা শিল্পাঞ্চল আপনারা গড়ে তুলবেন বা শিল্পোন্নয়ন করবেন পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি আপনাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থপনাটা শুরু থেকেই করতে হবে যেমন, খুব হার্ড কেমিক্যাল ওয়েস্ট অথবা সলিড ওয়েস্ট বা অন্যান্য লিকুইড ওয়েস্টের ব্যবস্থাপনা যদি শুরু থেকেই করেন তাহলে আমাদের পরিবেশ রক্ষায় একটি সহযোগিতা হবে এবং দেশের জন্য, মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে।’ তিনি ব্যবসায়ীদের এদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান।
এই প্রসঙ্গে তিনি প্রতিটি শিল্প এলাকায় একটি করে জলাধার রাখার ব্যাপারে নজর দেয়ার জন্যও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, যেন বৃষ্টির পানি সেখানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। যতগুলো স্থাপনা হবে সেখানকার বৃষ্টির পানি এখানে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাতে করে অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এই পানি ব্যবহার করা যায়।
শিল্প এলাকায় একটা জলাধার থাকলে সেখানকার পরিবেশটাও ভাল থাকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সে স্থানে অধিকহারে বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা আমাদের পরিবেশের জন্যই দরকার। আপনারা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম ফাতিমা ইয়ামিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যগণ, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিল্প সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিদেশি কূটনিতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশের রপ্তানি খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ২৮টি ক্যাটাগরিতে ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের মাঝে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৬-১৭-র ২৯টি স্বর্ণ, ২১টি রৌপ্য এবং ১৬টি ব্রঞ্জ ট্রফি প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘জাবের এন্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড’ টানা ৬ষ্ঠ বারের মত শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক হিসেবে ২০১৬-১৭ সালের রপ্তানি স্বর্ণ ট্রফি জয় করে।
‘জাবের এন্ড জুবায়ের লিমিটেড’ ২০১৭ সালের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের জন্য আরো একটি স্বর্ণ ট্রফি লাভ করে।
অনুষ্ঠানে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যেও সম্প্রসারণের ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়।
রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন পণ্য সংযোজনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রপ্তানি পণ্য সংযোজনের জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। সেইসাথে আমাদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি সেইদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। বাজার খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদের দেশের রপ্তানি খাতের সম্প্রসারণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যে যেই দেশের অ্যাম্বাসেডর সেই দেশে কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেই পণ্যের মধ্যে কোন কোনটি আমাদের নিজেদের দেশে উৎপাদন করতে পারি, রপ্তানি করতে পারি এবং সেই সুযোগটা যাতে সৃষ্টি হয় তার জন্য তাঁরা যথাযথ ভাবে কাজ করবেন এবং আমাদের উৎপাদিত পণ্যগুলি সে দেশের মানুষের সামনে যেন তুলে ধরা যায় সে ব্যবস্থাও তারা নেবেন।’
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা যেমন কূটনীতিকদের সহযোগিতা করতে পারেন তেমনি তাঁদের সহযোগিতাও নিতে পারেন বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আমাদের রপ্তানি পণ্যের সম্ভার অতীতের থেকে সমৃদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের নতুন নতুন অনেক পণ্য এসেছে, যেমন আইসিটি।’
তিনি বলেন, এই তথ্য প্রযুক্তির বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের চামড়াসহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য, পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যালস, আসবাব পত্র, জুয়েলারি প্রভৃতিসহ বিভিন্ন নন ট্যাডিশনাল পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় যেসব দেশের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যেও এখনও প্রবেশাধিকার ঘটেনি সেসব দেশেও প্রবাশী বাংলাদেশীদের বসবাস রয়েছে উল্লেখ করে তাঁদের মাধ্যমে সুযোগকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। Prime Minister Sheikh Hasina today reassured
the business community of extending all sorts of support to their any
necessity, urging them to set up industries by giving special attention to
waste management and environment.

“Our government is business-friendly government. We always remain beside
the businesspeople … they’ll do business and we’ll extend cooperation to
their work,” she said.

The premier was addressing as the chief guest the National Export Trophy
for 2016-17 fiscal year distribution function at Bangabandhu International
Conference Centre here this afternoon.

The Commerce Ministry and the Export Promotion Bureau (EPB) jointly
organised the function chaired by Commerce Minister Tipu Munshi.

The prime minister said the businesspeople will have to give a special
focus on waste management and environment while establishing mills and
factories.

“I would like to request you that you’ll have to make arrangements for
waste management from the beginning… it’ll help protect environment and
ensure welfare for the country and people,” she said.

In this connection, Sheikh Hasina said water reservoirs will have to be
kept for rainwater storage and so that their water could be used in
extinguishing fire or during any other accident.

“Environment of the concerned mills and factories and the surrounding
areas remains good if any water reservoir persists,” she added.

Chairman of the Parliamentary Standing Committee on the Commerce Ministry
Tofail Ahmed was present at the function as the special guest, while FBCCI
President Sheikh Fazley Fahim and Commerce Ministry’s Senior Secretary
Mafizul Islam also spoke.

EPB Vice-Chairman Fatima Yasmin delivered the welcome address.

At the function, a documentary on ‘Export of Bangladesh’ was screened.

Ministers, PM’s advisers, parliament members, business leaders, high civil
and military officials were present at the function.

The prime minister handed over 66 trophies — 29 gold, 21 silver and 16
bronze — in 28 categories to 66 companies for their outstanding performance
in the export sector.

Zaber and Zobaer Fabrics was awarded a gold medal as the highest exporter
company in FY 2016-17.