প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর এন্টিবায়োটিকস এবং অন্যান্য চিকিৎসা প্রযুক্তি ও এন্টিমাইক্রোবাইয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) কার্যক্রমে সমতাভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিতে প্রযুক্তি বিনিময় এবং এতদসংক্রান্ত বিনিয়োগে অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা অর্থবহভাবে পরস্পরকে সহযোগিতা করি এবং প্রযুক্তি বিনিময় ও মালিকানায় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সকলের জন্য সামর্থের নাগালের মধ্যে কার্যকর এন্টিবায়োটিকস ও অন্যান্য চিকিৎসা প্রযুক্তি প্রাপ্তি নিশ্চিতে একসাথে কাজের গতি অব্যাহত রাখি।’
মঙ্গলবার এএমআর এর ওপর গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ (জিএলজি)’র দ্বিতীয় বৈঠকে পূর্বে ধারণকৃত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি সম্প্রচার করা হয়। এই বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘একই সময়ে, আসুন আমরা এএমআর নিশ্চিতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করি।’ এএমআর-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবগুলো খাতেই টেকসই পদক্ষেপ জরুরি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যাপারে কর্ম-পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে দেখে তিনি সন্তুষ্ট।
গ্রুপটির কো-চেয়ার শেখ হাসিনা আরো বলেন, ওয়ান হেলথ প্রস্তাবের পাশাপাশি বহুখাতের ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে জন্য জিএলজি’র অগ্রাধিকারকে সমর্থন দিতে পেরেও আমি আনন্দিত। জিএলজি’র জন্য সমন্বিত যোগাযোগ কৌশল অনুমোদন করতে পেরে তিনি আনন্দিত উল্লেখ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জিএলজি কর্মকা-ের পরিচিতি তুলে ধরতে আমরা আমাদের অবদান রেখে যাব।’
এএমআর এ সরাসরি টেকসই অর্থায়ন বাড়াতে জিএলজি কি করতে পারে- সে ব্যাপারে অন্যান্যদের মতামত জানতে চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এএমআর এর বোঝা লাঘবে এই খাতের সকল পর্যায়ে অর্থায়ন অতি জরুরি।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গবেষণা, উন্নয়ন এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনে সকলের সমান প্রাপ্তির লক্ষ্যে আমাদেরকে পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অর্জনে আমাদেরকে রাজনৈতিক পদক্ষেপকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর এজন্য এএমআর-কে এসডিজিএস বাস্তবায়নে এএমআর নিশ্চিত করা উচিত।’