প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তির ১১তম বর্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গতকাল অপরাহ্নে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতা-কর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীরা ফুলের তোড়া দিয়ে শেখ হাসিনাকে এই শুভেচ্ছা জানান।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ প্রথমে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান, পরে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং আব্দুল মতিন খসরু।
এ সময় ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদ, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শ ম রেজাউল করিম, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্রধানমন্ত্রীকে পৃথকভাবে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
জাতীয় সংসদ ভবনের চত্বরে স্থাপিত বিশেষ সাব জেলে প্রায় ১১ মাস আটক থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের এই দিনে মুক্তি লাভ করেন।
এক এগারোর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতায় আসা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবন ধানমন্ডির সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করে।
আটককালীন শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ এবং তাঁর সহযোগী সংগঠন সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার দাবি ওঠে। জনগণের ঘন ঘন দাবি এবং চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।