প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষের প্রাক্কালে আজ যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-পাচ্চর-ভাঙ্গা রুটে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন। এর ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বেলা ১১টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নবনির্মিত বিশ্বমানের এই এক্সপ্রেসওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে বলেন, ‘এটি দেশের প্রথম নিয়ন্ত্রিত এক্সপ্রেসওয়ে’। তিনি এটিকে জাতির জন্য মুজিব বর্ষের উপহার বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যানবাহনগুলো কোন ধরণের বাধা বা ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই সরাসরি গন্তব্যে যেতে পারবে। এর পাশাপাশি আশেপাশের এলকার জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য ধীর গতির যানবাহন চলাচলের পৃথক লেন নির্মাণ করা হয়েছে।একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতু এবং তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ৬ লেনবিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার তৃতীয় কর্ণফুলী (শাহ আমানত সেতু) সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম প্রকল্প বিষয়ে তথ্য চিত্র উপস্থাপন করেন।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পিএমও’র এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।