তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এদেশে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারকারী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত ধরে পুনর্বাসিত স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতির ধারায় জাতির পিতাকে অস্বীকার করা হয়। যে মহানায়কের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, যিনি পলে পলে আন্দোলনে বাঙালিকে বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো, তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা, তুমি কে আমি কে, বাঙালি-বাঙালি, এই স্লোগান শিখিয়েছেন, এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে স্বাধীনতা এনে বাঙালিকে প্রথম জাতিরাষ্ট্র দিয়েছেন, তাকে এবং তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়। এটা যারা করে তাদের রাজনীতি এদেশে চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’এসময় দেশ-বিদেশের উদাহরণ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপে গেলে দেখা যায়, নেদারল্যান্ডসে যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের সহযোগিতা বা সমর্থন করেছিল, তাদের নিজদেশে ভোটাধিকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো রাজনীতি করে। তারা এমপি-মন্ত্রীও হয়েছে এবং তা প্রথমে জিয়াউর রহমান ও পরে তার স্ত্রী বেগম জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতাতেই। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত এবং এনিয়ে বিতর্ক কখনোই বাঞ্ছনীয় নয়।’জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, সদস্য মো: আইয়ুব ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে এদিন সকালে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গান 'যদি রাত পোহালেই শোনা যেতো বঙ্গবন্ধু মরে নাই' গানটি প্রকাশ করেন।মন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসভবনে এসময় গানবাংলা টিভির চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস উপস্থিত ছিলেন। দেশের বরেণ্য সব শিল্পীদের সমবেত কন্ঠে নতুন করে নির্মিত এই গানটিকে হৃদয়ছোঁয়া বলে অভিহিত করেন ড. হাছান।