বাংলাদেশ ও সৌদি আরব নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, সুনীল অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং এসডিজি অর্জনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আজ দুপুরে বঙ্গভবনে সৌদি আরবের সূরা কাউন্সিলরের স্পিকার ড.আব্দুল্লাহ মো. ইব্রাহিম আল শেখ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দু’পক্ষই একই মত দেন।বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসস’কে জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে সৌদি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।দু’দেশের মধ্যকার ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বন্ধনও সুদৃঢ়।তিনি বলেন, সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান।সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।সৌদি আরবকে বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।রাষ্ট্রপতি আশা করেন, ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি জোর সমর্থন জানায় এবং গাজায় ইসরাইয়েলী হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।রাষ্ট্রপতি মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।সৌদি আরবের সূরা কাউন্সিলরের স্পিকার জানান, সৌদি সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে খুবই গুরুত্ব দেয়।
এসময় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।এসময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।