পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি-বিএসএফের ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা একমত পোষণ করেছেন।
৪ দিনব্যাপী বিজিবি ও বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সম্মেলন শেষে পিলখানায় বিজিবি’র সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদত সম্মেলনে উভয় বাহিনীর প্রধান সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সীমান্তে উভয় দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা বা আহত অথবা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী আরও বেগবান করা এবং প্রয়োজন মাফিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণসহ সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উভয় বাহিনীর প্রধান সম্মত হয়েছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনাসহ সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সীমান্তে আক্রমণ অথবা হামলার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালন এবেং মানব পাচার বন্ধে এক সঙ্গে কাজ করতে উভয় বাহিনীর প্রধান আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজ সকাল ১০টার দিকে দিকে সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।
এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা ও আহত করা, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা অথবা সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া অথবা আটক রাখা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম অথবা বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারী নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন ও ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পার্বত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও যৌথ টহল বাড়ানোর ব্যাপারে উভয় বাহিনীর প্রধান একমত পোষণ করেন।