যুক্তরাষ্ট্র বুধবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির শীর্ষ এ কূটনীতিকের তৎপরতা চালানোর দরজা কার্যকরভাবে বন্ধ করতেই ওয়াশিংটন এমন পদক্ষেপ নিলো। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে জারিফের যেকোন ধরনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা দিয়ে সরকার বলেছে, তারা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সফরও সংকোচন করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভান মুচিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জারিফ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বেপরোয়া কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং তিনি বিশ্বব্যাপী তেহরান সরকারের প্রধান মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন। এমন পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরান সরকারকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে তেহরানের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ব্যাপারে প্রয়োগ করা একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় জারিফের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে পারমাণবিক উত্তেজনা নিরসনে ওবামা প্রশাসনের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ বড় আঘাত।
ইরানের পারমাণবিক বিদ্যুত শিল্প বিষয়ে বিদেশের সাথে জটিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জারিফ। এ শিল্পের ব্যাপারে তেহরানের ভাষ্য হচ্ছে এটি একটি শান্তিপূর্ণ কর্মমসূচি। তবে ইসরাইলসহ ওয়াশিংটন ও তাদের আঞ্চলিক মিত্র দেশগুলো জোর দিয়ে বলে আসছে যে ইরান তাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিদ্যুত কর্মসূচির আড়ালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরী করছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানান, জারিফের কূটনৈতিক ভাবমূর্তি মিথ্যা। জারিফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী নন,তিনি প্রপাগান্ডা মন্ত্রী একথা উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিদ্ধান্ত দিয়ে বলেছেন যথেষ্ট হয়েছে, আর না।’
জারিফ যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের দ্রুত জবাব দিয়ে টুইটার বার্তায় বলেন, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানকে নীরব রাখার চেষ্টা করছে।