আজ ২২ শ্রাবণ, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মহাপ্রয়াণ দিবস। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে ৮০ বছর বয়সে তিনি যাত্রা করেন অনন্তলোকে। বাংলা সাহিত্যের এই কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও তাঁর সৃষ্টিকে লালন করে চলেছে পুরো বাঙালি জাতি। যাদের জীবনের প্রতিটি বাঁকে মিশে আছে কবিগুরুর সৃষ্টি। বিশ্বকবির মহাপ্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। জীবদ্দশাতেই চিরকালের আধুনিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন মৃত্যুকে জয় করেছিলেন। তাইতো জীবনের শুরুতেই ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীতে’ করছেন এমন সত্যের উচ্চারণ । মৃত্যুকে তিনি অমৃতলোকের পথে যাত্রা বলে স্মরণ করেছেন আজীবন। কবিতার জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি হলেও, তাঁর গানে, গীতিনাট্যে, গল্পে, প্রবন্ধে, উপন্যাসে জীবনের সুক্ষ্ম দর্শনের উপস্থিতি জ্বলজ্বলে হয়ে আছে। তাঁর লেখনীতে সুখ ও দু:খ সমান্তরালভাবে বিরাজমান।বাঙালির প্রেমে, আনন্দে, উৎসবে, দু:খে, বিষাদে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া যেন যাপিত জীবন অকল্পনীয়। শতবর্ষ পরেও তাঁর লেখনী সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যা বয়ে চলবে অনন্তকাল।