মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর ৪০তম স্প্যান বসেছে আজ । আর একটি স্প্যান বাকি। ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু পুরোটাই দৃশ্যমান হবে।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ১১ ও ১২ নম্বর খুটির ওপর বসানো হয়েছে ৪০তম ২-ই নম্বর স্প্যানটি। আর এর মধ্য দিয়ে সেতু দৃশ্যমান হলো ছয় কিলোমিটার। এরমধ্য দিয়ে নতুন মাইল ফলক রচিত হচ্ছে। সেতুর ৪২টি খুঁটির সবকটিই স্প্যান বহন করলো। পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের জানিয়েছেন, পদ্মাসেতুর ৪০তম স্প্যান বৃহস্পতিবার ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটির কাছে পজিশনিং করা হয়, তাই শুক্রবার অল্প সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি স্থাপন করা সম্ভব হলো।
এখন আর একটি স্প্যান বসানো বাকি। বিজয় দিবসের আগেই ১৫০ মিটার দীর্ঘ ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু পুরোটাই দৃশ্যমান হবে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা মাত্র। শেষ (৪১তম) স্প্যানটি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪১তম স্প্যান ‘২এফ’ বসবে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর।
এ সেতুর ৪২টি খুঁটির ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। এর মধ্যে বসে গেছে ৪০টি স্প্যান। জাজিরা প্রান্তে ২০টি স্প্যান বসানো হয়ে গেছে। আর মাওয়া প্রান্তে বসানো হয়েছে ১৯টি স্প্যান। একটি স্প্যান বসেছে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মাঝখানে। আর ১টি স্প্যান বসানো এখনও বাকি আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৪০টি স্প্যান। ৪২টি পিলারে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতু তৈরী হচ্ছে।