চার দিনের রাষ্ট্র্রীয় সফরে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি কাঠমান্ডুতে পৌঁছালে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী তাকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বেলা ১টায় কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমও এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন।
বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে 'স্ট্যাটিক গার্ড' দেওয়া হয়। নেপালের ইনফ্রাস্টাকচার মিনিস্টার এবং নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রপতিকে মোটর শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হয় ভিভিআইপি বে'তে। সেখানে আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। তার মেয়ে উষা কিরণ ভাণ্ডারী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ভিভিআইপি বেতে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। একুশবার তোপধ্বনি করা হয় আবদুল হামিদের সম্মানে। বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত। ভিভিআইপি বে সাজানো হয়েছিল দুই দেশের পতাকা দিয়ে।
বুধবার নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ‘শীতল নিবাসে’ বিদ্যা দেবীর দেওয়া নৈশভোজেও অংশ নেবেন আবদুল হামিদ।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভাইস প্রেসিডেন্ট নন্দ বাহাদুর পুন, পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারপার্সন গনেশ প্রসাদ তিমিলসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিওয়ালি, নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল (প্রচণ্ড), বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলীয় নেতা শের বাহাদুর দেউবা বুধবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রতি সাক্ষাৎ করবেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই সফরে পোখারা এবং কাঠমান্ডুর বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরে দেখবেন। সফর শেষে ১৫ নভেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
###