প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্তিকে টেকসই করতে উত্তরণের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ‘জাতীয় সরল উত্তরণ কৌশল’ প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণকে টেকসই করতে একটি জাতীয় সরল উত্তরণ কৌশল (স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি) প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কতৃর্ক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ উত্তোরণের স্বীকৃতি প্রদান আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অথনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের চূূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই জাতীয় দলিলে উত্তরণের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব ধরনের দিক-নির্দেশনাসহ কার্যকর কৌশল থাকতে হবে।’
সম্যক গবেষণা ও সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে একটি প্রমাণ-নির্ভর সময়োপযোগী কার্যকর কৌশল প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবোই। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণের স্বীকৃতি এই স্বপ্ন বাস্তবায়নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন,আমি জানি স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাঁধা আসে আর দেশকে ভালোবেসে শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে যারা পথ চলে তাদের পথ চলা কখনো সহজ হয় না। অনেক বাঁধা অতিক্রম করতে হয়। চলার পথ যতই অন্ধকারাচ্ছন্নই হোক না কেন, যত বন্ধুর হোক না কেন, যত কন্টকাকীর্ণ হোক, সেখানে আমরা থেমে থাকবো না। অন্তত আমি এই প্রতিজ্ঞা করছি, থেমে থাকবো না।
চলার পথ যত কন্টকাকীর্ণ হোক, যত রক্তক্ষরণ হোক সব পদদলিত করে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে যাব এটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা, বলেন তিনি।