জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার সাথে অনুষ্ঠিত হলো সর্বদলীয় সভা। এতে আলোচিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সব দল। বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাও। বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও সংগঠনটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৫ আগস্ট ছিল আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রতীক। ওইদিন পুরো অনুভূতিটাই ছিল একতার অনুভূতি। এখন কিছু করতে হলে সবার মতামতের ভিত্তিতে করতে হবে। ড. ইউনূস আরো বলেন, এ সরকারের জন্ম হয়েছে ঐক্যের মাঝখানে, ঐক্যের দ্বারা এটা সৃষ্টি। সর্বসম্মতিক্রমে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারলে দেশের জন্য অনেক ভালো হবে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এদিকে বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বৈঠক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। সবাই বলেছেন, এই ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে।”